Posted On June 9, 2022 By In Product Review, Slider With 702 Views

BenQ Monitor

BenQ Eye Care Technology 

BenQ ২০১০ সালে এই Eye Care Technology প্রথমবারের মত Introduce করে। Eye Care এর মধ্যে পুরো একটা সলিউশন দেওয়া হয়ে থাকে। অন্য ব্র্যান্ডগুলোর ক্ষেত্রে  Eye Care বলতে মূলত দুইটি সুবিধা – Flicker-Free Eye Protection এবং Low Blue Light Technology বোঝায় । কিন্তু BenQ এই দুইটি সুবিধা দেওয়ার সাথে সাথে  Petent technology যেমন Bright Intelligence এবং Bright Intelligence Plus Technology দিয়ে থাকে। এই টেকনোলোজি আমাদের মনিটরের যে  ambiance light আছে সেটার সাথে brightness টা ঠিক করে দেয়। সাথে সাথে আমাদের মনিটরে White কিংবা Yellow যে ambience এরই light থাকুক না কেন সেটা সে অনুযায়ী color temparature ঠিক করে নেয়। এটাকেই মূলত বলা হচ্ছে  Bright Intelligence Plus Technology যা BenQ এর নতুন মডেলগুলোতে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া Eye Care সলিউশন হিসেবে আরও তিনটি নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়েছে BenQ এর মনিটরগুলোতে। এগুলো হলো – Eye Reminder, ePaper Mode এবং Color Weakness Mode. 

Eye Reminder
এই ফিচারে অনেকক্ষণ ধরে মনিটর দেখতে থাকলে আপনাকে একটা নির্দিষ্ট সময় পর Pop-up দিবে অর্থাৎ আপনার চোখকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য  Reminder দিবে। 

ePaper Mode
লম্বা সময় মনিটরে বসে কোন আর্টিকেল বা লেখা পড়বার ক্ষেত্রে এই ফিচারটি কাজে দেয়। এই ePaper Mode অন করলে মনে হবে আপনি কাগজের পেপারে পড়ছেন অর্থাৎ চোখের উপর মনিটরের brightness এর কোন প্রভাব পড়বে না। 

Color Weakness Mode
যারা Color Weak বা Color Blind তাদের জন্য এই Color Weakness Mode ব্যবহৃত হয়।

সুতরাং  entry level selling  এর ক্ষেত্রে BenQ এর এই Eye Care Technology গুলোর গুরুত্ব সহকারে গ্রাহকদের কাছে উপস্থাপন করা উচিত। অন্যান্য ব্র্যান্ড এই Eye Care Technology এর ক্ষেত্রে যেখানে ১/২ টা ফিচার দিবে সেখানে BenQ দিচ্ছে অনেকগুলো ফিচার।

আরো নতুন ফিচার 

GW SERIES (বেসিক মডেল সিরিজ) 

GW সিরিজে BenQ নতুন একটি মডেল নিয়ে এসেছে GW2485 TC এবং GW2785 TC। যেহেতু এখন বেশিরভাগ আপকামিং ল্যাপটপগুলোতে TYPE-C কানেক্টর থাকে, তো এই মডেলগুলো সেরকম TYPE-C কানেক্টর রাখা হয়েছে, সাথে থাকছে পাওয়ার ডেলিভারি। সুতরাং এক্সটারনাল কোন পাওয়ার লাগছে না। এটা ছাড়া এই মনিটরে আলাদা একটা মোড দেওয়া হয়েছে যাকে বলা হচ্ছে CODING MODE. যারা কোডিং শিখছেন তাদের জন্য এই আলাদা মোড দেওয়া হয়েছে। সুতরাং যারা কলেজের স্টুডেন্ট বা ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট তাদেরকে এই মডেলের মনিটর সাজেস্ট করা যেতে পারে। এছাড়া এতে রয়েছে Noise Cancellation Microphone with 5 meter microphone pickup. কেউ যদি প্রফেশনালি অডিও রেকর্ড করতে চান কিংবা অডিও কনফারেন্স করতে চান তাদের জন্য এই মনিটর সাজেস্ট করা যাবে।

EW SERIES (Entertainment)

EW SERIES এর মনিটরগুলো সাধারণত 60Hz এবং 75Hz এর মনিটর হয়ে থাকে। এই সিরিজের মনিটর দিয়ে মূলত ক্যাসুয়েল গেমিং কিংবা এন্টারটেইনমেন্টের কাজ যেমন সিনেমা দেখা, ভিডিও দেখা ইত্যাদি করা হয়।  বর্তমানে এই সিরিজের মধ্যে ৩২ ইঞ্চির কার্ভ মডেল এভেইলেবেল আছে। এছাড়া সামনে এই EW SERIES -এ  আসতে যাচ্ছে ৪৯ ইঞ্চির কার্ভ মডেলের মনিটর।

গেমিং আর ই-স্পোর্টসের মাঝে পার্থক্য

গেমিং মনিটরের চাহিদা এখন সবচেয়ে বেশি। এই মনিটরগুলো সম্পর্কে জানতে হলে আগে আমাদের গেমিং আর ই-স্পোর্টসের মধ্যে পার্থক্যটা বুঝতে হবে। গেমিং বলতে এখানে ক্যাসুয়াল গেমকে বোঝানো হয়েছে। গেম আপনি যেকোন মনিটর দিয়েই খেলতে পারবেন, শুধু আপনার কত হার্জ আছে, কত এমএস আছে কিংবা আইপিএস আছে কি না এই বিষয়গুলো জানলেই হবে। অন্যদিকে ই-স্পোর্টসের গেমিং মানে হচ্ছে প্রফেশনাল গেমিং। এই প্রফেশনাল গেমিং এর জন্য আপনাকে ভালো মানের মনিটর লাগবে। 

MOBIUZ Brand
BenQ ক্যাসুয়াল গেমারদের কথা চিন্তা করে MOBIUZ ব্র্যান্ডটা নিয়ে আসা এসেছে। আগে এটা BenQ Gaming  নামে আসতো। BenQ তে MOBIUZ এর একটা হিউজ লাইনআপ আছে। যদিও বাংলাদেশে বর্তমানে MOBIUZ এর দুইটি মডেল এভেইলেবল আছে। 

যখন গেমিং মনিটরের কথা আসছে তখন হার্জ, রিফ্রেশ রেট ছাড়াও BenQ এর গেমিং মনিটরগুলোতে দিচ্ছে কিছু সফটওয়্যার। প্রফেশনাল ই-স্পোর্টস সিরিজের মনিটরগুলোতে যে সফটওয়্যারগুলো দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে কিছু কিছু সফটওয়্যার এই MOBIUZ ব্র্যান্ডের মনিটরগুলোতেও রাখা হয়েছে। 

  •  MOBIUZ ব্র্যান্ডের মিনিটরগুলো সাধারণত 165Hz এবং 144Hz প্যানেলের হয়ে থাকে  
  • প্রতিটাতেই 1ms response time থাকে এবং IPS প্যানেল ব্যবহৃত হয় 
  •  VESA Certified HDRi 

(BenQ এর HDR অন্যান্য ব্র্যান্ড থেকে আলাদা কারন এটি প্যাটেন্ট করা)

  • Light Tuner (স্ক্রিনে কোথাও লাইট কম আছে মনে হলে এই সফটওয়্যার দিয়ে আপনি প্রয়োজনমতে লাইট বাড়িয়ে নিতে পারবেন) 
  • Color Vibrance (ধরা যাক, গেম খেলার সময় কোথাও শত্রু লুকিয়ে আছে। কালারের কারনে হয়ত আপনি অবজেক্টকে ভালো করে দেখতে পারছেন না। এক্ষেত্রে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনি আরও ভালো ভিউ পাবেন গেমিং অবজেক্ট দেখার ক্ষেত্রে) 
  • Black eQualizer ( এটি মূলত BenQ এর Zowei ব্র্যান্ডের একটি সফটওয়্যার যার সাহায্যে গেমিং এর ক্ষেত্রে অন্ধকার জায়গা পরিস্কার করা যায়। এই সফটওয়্যারটিকে MOBIUZ ব্র্যান্ডের মনিটরগুলোতেও আনা হয়েছে)

MOBIUZ এর মডেলসমূহ
Ex Series Monitors – Best Experience Gaming Monitor
Hero
EX2510S
EX2710S
EX240
EX240N

বাংলাদেশের মার্কেটে এখন EX2510S এবং EX2710S এই দুইটি মডেল আছে। ২৪ ইঞ্চির মডেল (EX240, EX240N) সামনে আসতে যাচ্ছে। এই মডেলগুলো ২৪ ইঞ্চির অন্যান্য ব্র্যান্ডের (আসুস, গিগাবাইট, এমএসআই) মডেলগুলোর কথা চিন্তা করেই বানানো হচ্ছে। মার্কেটের প্রাইস রেঞ্জ দেখেই এই দুটি মডেল নিয়ে আসা হবে। 

Curved
EX2710R
EX3210R
EX3415R

এই Curved মডেলের মনিটরগুলো এখন পর্যন্ত ইন্ডিয়ার বাজারে আছে। এগুলো প্রিমিয়াম সিরিজ এবং এর cost এর জন্য এখনো বাংলাদেশে আনা হচ্ছে না। তবে ১ কি ২ কোয়ার্টার পরে এগুলো নিয়ে আসার সম্ভাবনা আছে।

2K
EX2710Q

2K এর EX2710Q মডেলটি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের বাজারে আছে। 

4K
EX3210U 

এই মডেলটি নিয়ে আসা হয়েছে বাজারে। এটি প্রথমবারের console gaming এর জন্য আদর্শ এক মনিটর। সাথে সাথে পিসি গেমিং এও আপনি এটা ব্যবহার করতে পারবেন। এটি প্রথম মডেল যা  HDMI 2.1 supported. 

BenQ ZOWIE Monitor for Pro-Gamers
প্রফেশনাল গেমার কিংবা eSports প্রফেশনালদের সাথে কথা বললে জানতে পারবেন যে তারা বেশিরভাগই ZOWIE Monitor ব্যবহার করে থাকেন। কারন কম্পিটেটিভ গেমিং এর জন্য এটিই স্ট্যান্ডার্ড।
ZOWIE Monitor – এ যা পাবেন – 

  • DyAC Technology ( এটি BenQ এর পেটেন্টেড টেকনোলজি। DyAC Technology বা  Dynamic Acquiracy আপনার মনিটরে এক ফ্রেমের ছবি থেকে আরেক ফ্রেমে গেলে যে হালকা আভা আসে তা দূর করে দেয়। এটি গেমিং এর ক্ষেত্রে বেশি লাগে। Dynamic Acquiracy ছাড়া মনিটরের ফ্রেম রেটগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। তাই যারা কম্পিটেটিভ গেম খেলছে তাদের জন্য ZOWIE Monitor ই সাজেস্ট করা উচিত।

  • Black eQualizer 
  • Color Vibrance

বাজারে ZOWIE এর মডেলসমূহ
XL Series Monitor – Best Experience eSports Monitor
বাংলাদেশের বাজারে ZOWIE এর দুটি মডেল আছে। মডেলগুলো হল-

XL2411K
XL2546K

ZOWIE Mouse 

এছাড়া ZOWIE এর মাউসের একটা রেঞ্জ আছে যেটা eSports প্রফেশনাল মাউস। এই মাউসগুলোতে ট্র্যাডিশনাল আরজিবি নেই তবে প্রফেশনালদের চাহিদার কথা বিবেচনা করেই এগুলো বানানো হয়েছে।  ZOWIE এর মাউসের মূল বিষয়টাই হচ্ছে এর সেন্সর। এতে খুব শক্তিশালী সেন্সর থাকে। যখন আপনি র‍্যাপিডলি মুভ করবেন এবং আপনার হাত থেকে যদি মাউসটি উঠে যায় তারপরেও এটি লং ডিস্টেন্ট থেকে সারফেসটিকে ট্র্যাক করতে পারবে। সাথে সাথে এর DPI  টা  3200 DPI পর্যন্ত হয়। এই DPI  টা eSports প্রফেশনালদের সেট করে দেওয়া। 

BenQ PD & SW Series 

এই সিরিজটিকে BenQ এর ডিজাইন এন্ড ফটোগ্রাফিক সিরিজ বলা হয়। এই মনিটরগুলোতে কালার একিউরেসি নিয়ে কথা বলা হয়। মানুষ হিসেবে আমরা যতটুকু কালার দেখি বা বুঝতে পারি তা কিন্তু পুরো মনিটর দেখাতে পারে না।  sRGB রেঞ্জের কালার মোটামুটি সব ব্র্যান্ডের মনিটরই দেখাতে পারে। কিন্তু AdobeRGB এবং DCI-P3 রেঞ্জের কালারগুলো দেখাতে হলে আপনার মনিটরের হাই কোয়ালিটির প্যানেল থাকতে হবে এবং মাল্টিপল চিপের ব্যবহার করতে হবে। BenQ  এর  PD & SW Series এর বিশেষত্ব হচ্ছে এই কালার একিউরেসি। আপনি এই সিরিজের মনিটরগুলোতে sRGB,  AdobeRGB এবং DCI-P3 পেয়ে যাচ্ছেন।

PD Series 

এছাড়া PD সিরিজের মনিটরে সফটওয়্যার ফিচার হিসেবে পেয়ে যাচ্ছেন  CAD/CAM Mode. এটি  AUTO CAD এর জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।  এছাড়া আরও রয়েছে – 

  • Animation Mode
  • Dual Mode ( ডিজাইনিং এর কাজে ব্যবহার করা যায়) 
  • Display Pilot (BenQ এর নিজস্ব সফটওয়্যার) 
  • Technicolor Certification 

SW Series 

SW Series এর বিশেষত্ব – 

১) SW Series এ কালার একিউরেসি আরও বেশি থাকে 

২) Hardware Color Calibration সম্ভব হয়। 

৩) ফটোগ্রাফারদের জন্য ভালো  

SW Series এর দুটি মডেল বাংলাদেশে আছে –    SW 240 , SW321C  

BenQ Camera 

DVY 21, DVY 31 – গ্লাস লেন্সের ক্যামেরা। 

DVY 32 নামে নতুন একটি ক্যামেরা launch হয়েছে। 

DVY 32 এর বিশেষত্ব – 4K Camera, Dual Stream, Auto Cropping

BenQ VideoBar 

  • All in one solution  
  • Android based camera. এখানে Android এর ভার্সন পাচ্ছেন 
  • এই ক্যামেরা ব্যবহার করে আলাদা করে কম্পিউটারের দরকার হবে না মানে ক্যামেরাটাকে আলাদা করে কোন মনিটরে এড করলে আপনি কম্পিউটারের মত ডিসপ্লে পেয়ে যাবেন। 
  • Voice Detection ফিচার আছে। অর্থাৎ যে কথা বলছে তাকে চিহ্নিত করে ফেলবে।

BenQ Interactive Flat Panel 

  • For high grade customer 
  • অফিস, ক্লাসরুম, ট্রেনিং রুম ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয় 

বিশেষত্ব – ১) জীবাণুরোধী টাচ প্যানেল ২) ডাস্ট প্রুফ ৩) আই কেয়ার

BenQ Projector

Home Projector 

  • 120 ডিগ্রী পর্যন্ত স্ক্রিন বানাতে পারে
  • হোম প্রোজেক্টর – বাসার ওয়ালের কালার যেমনই হোক এটা প্রোজেক্ট করার সময় কালার চেঞ্জ করে নিতে পারে। ফলে সাদা ওয়ালের উপর নির্ভরতা কমায়।  

Portable Projector 

  • সামনের বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে এই পোর্টেবল প্রোজেক্টরগুলোর চাহিদা বাড়বে।

 

About

Marketing & Communications Ryans Computers