পারফরম্যান্স এর দিক থেকে নবম প্রজন্মের এবং দশম প্রজন্মের প্রসেসরে উল্লেখযোগ্য যেসব পার্থক্য তা নিচে তুলে ধরা হল।
কমেট লেক এস প্রসেসর
ইন্টেল দশম প্রজন্মে কোর আই-৯, আই-৭, আই-৫ এবং আই-৩ লাইনআপে সর্বশেষ কমেট লেক-এস প্রসেসরের ঘোষণা দিয়েছে। এতে নতুন কোর আই 9-10900 এ 10 টি কোর, 20 থ্রেড, একটি 125W টিডিপি সহ, 5.3 গিগাহার্টজ পর্যন্ত ফ্রিকুয়েন্সি দিবে। ইন্টেলের মতে এটি “বিশ্বের দ্রুততম গেমিং প্রসেসর”।
এই প্রসেসর ডিডিআর৪-২৯৩৩ পর্যন্ত সাপোর্ট করে। এছাড়া এতে রয়েছে Intel® Turbo Boost Max Technology 3.0।
কোয়াড-কোর এডএসপি
ইন্টিগ্রেটেড কোয়াড-কোর এডএসপি এর মাধ্যমে ভয়েস সার্ভিস ব্যবহার করা যায়, যা ন্যাচারাল এবং ইন্টারএকটিভ।
গত প্রজন্মের 802.11ac ওয়াই-ফাই স্ট্যান্ডার্ডের তুলনায় 6 গিগাহার্টজ এর ইন্টেল ওয়াই ফাই প্রায় 3 গুণ দ্রুতগতি সম্পন্ন।
সানি কোর আর্কিটেকচার
এ দুই প্রজন্মের প্রসেসরের প্রধান পার্থক্য হল পরের মডেলটি সানি কোর আর্কিটেকচারে তৈরি। এই কারণে, এটি পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনায় পারফরম্যান্সে ১৮ শতাংশ এগিয়ে থাকে।
একাদশতম প্রজন্মের গ্রাফিক্স আর্কিটেকচার
নতুন দশম জেন প্রসেসরটি একাদশতম প্রজন্মের গ্রাফিক্স আর্কিটেকচার সহ আরও উন্নত ফিচার নিয়ে আসে।
এআই ফিচার
দশম প্রজন্মের প্রসেসরের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ফিচার হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় উন্নত ফোকাস। ইন্টেল দশম প্রজন্মের প্রসেসরে এআই ফিচারকে আপগ্রেড করে তাদের সিস্টেমকে আরও প্রতিক্রিয়াশীল করেছে। ফলস্বরূপ, এই প্রসেসরের ডিপ লার্নিং বুস্ট টেকনোলোজি এর এআই পারফর্মেন্সকে নবম প্রজন্মের প্রসেসরের তুলনায় ২.৫ x বুস্ট করে। এছাড়া এটি সর্বোচ্চ পারফর্মেন্স দিতে পারে এবং কীরূপ কাজের চাপ হবে তার পূর্বাভাস দেয়।
ভিডিও রেজুলেশন
নবম প্রজন্মের প্রসেসরে ৪কে ভিডিও দেখা গেলেও, নতুন এই দশম জেনারেশন এর প্রসেসরে বহু রঙে এই ভিডিও দেখা যাবে। এই প্রসেসরের ১০৮০ পিক্সেল রেজুলেশনে যে কোনো ল্যাপটপে হাই-এন্ড গেমস খেলা যাবে।
১০ ন্যানোমিটার প্রোটোকল
নবম এবং দশম প্রজন্মের প্রসেসরের মূল পার্থক্যটি হল দশম জেনারেশনের প্রসেসরটি ১০ ন্যানোমিটার প্রোটোকল সরবরাহ করে এবং আরও ভাল এআই ফিচার দিতে পারে।
পাওয়ারফুল, হাই এন্ড পারফর্মেন্স এবং কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত কোন কাজ করতে চাইলে আপগ্রেড প্রসেসর ব্যবহার করতে পারেন।